Oh my my! I am a huge fan of delectable proses. As for this book, only by reading the prose of Mark Fried, who translated this book into English, I amOh my my! I am a huge fan of delectable proses. As for this book, only by reading the prose of Mark Fried, who translated this book into English, I am simply flabbergasted. I can't help wondering how incredible the original prose of Eduardo Galeano must be. There's neither an extra word nor a misplaced one. Carefully chosen contents and distinctive perspective of this book surprised me, illuminated me, shattered me, made me feel proud or ashamed or angry or sad. Sometimes, elicited a little smile on my face also.
Well, you don't have to agree with the author's perspective all the time, but on many occasions, it made me ask myself, "Why the fuck you didn't think of it earlier? Are you stupid or what?" Probably I'm. So, in no way I'm going to review this book. I'm writing his piece only to convey my kudos to Eduardo Galeano and Mark Fried for creating the masterpiece. Indeed, it tells the stories of almost everyone....more
[image] ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, আলস্য-ক্লান্তি যেভাবে আস্ত আমাকে গিলে খাচ্ছে।
যে জন্য এই প্রসঙ্গের অবতারণা- এই বই নিয়ে বেশ কিছু কথা বলবার ছিল, না বললেই হতো[image] ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, আলস্য-ক্লান্তি যেভাবে আস্ত আমাকে গিলে খাচ্ছে।
যে জন্য এই প্রসঙ্গের অবতারণা- এই বই নিয়ে বেশ কিছু কথা বলবার ছিল, না বললেই হতো না। কিন্তু লেখার পরিশ্রম করতে হবে তাই আমার মস্তিষ্ক বেশিরভাগ জিনিস ডিলিট করার কাজটি সেরে ফেলেছে। বাদ বাকি প্রেসিং যে দুটো ব্যাপার আছে, তাই লিখছি।
মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ ও সম্পাদনায় ল্যাটিন আমেরিকার চৌদ্দটি গল্প রয়েছে এই বইতে। নানা কারণে পড়া শুরুর আগে থেকেই এই বইটি ভাল লাগবে তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। লার্জ প্রিন্টের চার রঙা বই। রনবীর অলংকরণ। প্রিয় মানুষের উপহার। বেঙ্গল পাবলিকেশন থেকে বের হওয়া। লেখকদের মাঝে নাম রয়েছে বেশ কিছু ভারী নাম- ওরাসিও কিরোগা, ক্লারিস লিসপেক্টর, পাবলো নেরুদা, গাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল, গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস ইত্যাদি। তা সত্ত্বেও এই বর্তমান রেটিংয়ে পৌঁছানোর জন্য আর একজন ব্যাক্তিই তাহলে দায়ী হতে পারেন। লোকটি হলেন শ্রীমান অনুবাদক।
ব্যক্তিকে সমালোচনা না করে কর্মকে সমালোচনা করা উচিত, তবুও না করে পারলাম না। মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোবিকার রয়েছে। না হলে ছোটদের বইয়ে উনি ওরাসিও কিরোগার (বা সহজ বাংলায় 'জবাই করা মুরগি', অনুবাদক অবশ্য শুধু 'মুরগিছানা' নামে অনুবাদ করছেন) নামক গল্পটি অন্তর্ভুক্ত করতে পারতেন না। যাদের হাতে খানিকটা সময় রয়েছে তারা গল্পটি লিংক থেকে পড়ে নিতে পারেন। যাদের সময় নেই তাদের জন্য আমি সারসংক্ষেপ লিখে দিতে পারি। (view spoiler)[ এক দম্পতির চার ছেলে। চারজনই মানসিক প্রতিবন্ধী বা 'হাবা'। তো ত্যক্ত বিরক্ত দম্পতির পঞ্চম সন্তানটি ফুটফুটে এক মেয়ে। বাবা মায়ের সকল আদরের কেন্দ্রবিন্দু সে। বাবা মা এই চার ভাইকে ঘরের বাইরে রোদ পোহাতে নিয়মিত বসিয়ে রাখে। একদিন এরা অভিভূত হয়ে মুরগী জবাইয়ের দৃশ্য দেখে ফেলে। এরপর একদিন মাথায় কিছু একটা খেলে যায়, তখন মুরগীর বিকল্প মনে করে, বাবা মায়ের অনুপস্থিতিতে, নিজেদের ছোট বোনকে জবাই করে। (hide spoiler)] গল্পটি ছোটদের বইয়ে দেয়া কেন এবং কতটুকু অনুপযোগী, তা নিয়ে আলোচনা করবার কিছু নেই, যাদের মাঝে সংবেদনশীলতার সামান্যটুকু আছে তাদেরই বোঝার কথা। এই বইতে এমন একটি গল্প থাকার দায় প্রকাশকও এড়াতে পারেন না। এছাড়াও আরেকটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে, একজন অনুবাদক কি নিজের কাজের সম্পাদক হতে পারেন? কিভাবে?
'মুরগিছানা' গল্পটিকে যদি ছোটদের বইতে থাকা কনটেক্সট থেকে সরিয়ে শুধু মাত্র একটি গল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সে হিসাবেও মানসিক প্রতিবন্ধকতার ভয়ানক নেতিবাচক উপস্থাপন এটি। ওরাসিও কিরোগা তার লেখায় মানসিক অসুখ বিসুখ ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রশংসা অর্জন করেছে বলেই জানতাম। সেখানে এতটা নেতিবাচক উপস্থাপনে তার লেখা লেখা নেড়েচেড়ে দেবার আগ্রহ আর রইলো না।
বাকি গল্পগুলোও যে ছোটদের জন্য উপযোগী বা খুব উপভোগ্য তা নয়। এর উপর আছে অনুবাদকের বেখাপ্পা বাক্যগঠন (বাংলা-ইংলিশ-স্প্যানিশ রীতির এক ভজগট), শব্দচয়ন রীতি। বাংলা ভাষায় লুপ্তপ্রায় শব্দগুলোকে যথাসাধ্য ব্যবহার করে বাঁচিয়ে রাখার এক পরশংসাযোগ্য চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিছু কিছু লাইন পড়ে তো সাথে সাথে মাথা ধরে যায়। গল্পগুলোর বারোটা বাজানোর সম্পূর্ণ চেষ্টা করতে তিনি ছাড়েন নাই। শৈশবের টুকরো টুকরো ঘটনা নিয়ে পাবলো নেরুদার আত্মজীবনীমূলক লেখাটি অনুবাদকের কিলার অনুবাদের সবচেয়ে নির্মম শিকার। আহারে লেখাটা!
গুডরিডসে প্রতি সপ্তাহে হালি খানেক রিভিউ নামক বকবকানি পোস্ট করার একটি অভ্যাস ছিল, যদিও বুঝতে পারছিলাম যারা এসব পড়ছে তারা বেশ বিরক্তই হচ্ছে, তা সত্ত্বেওগুডরিডসে প্রতি সপ্তাহে হালি খানেক রিভিউ নামক বকবকানি পোস্ট করার একটি অভ্যাস ছিল, যদিও বুঝতে পারছিলাম যারা এসব পড়ছে তারা বেশ বিরক্তই হচ্ছে, তা সত্ত্বেও সে অভ্যাস ধরে রাখার বেশ শক্ত ইচ্ছা রাখতাম। কিন্তু ইচ্ছায় সব হয় না। পড়তেই পারছি কই, আর রিভিউ। লেখার ব্যাপারেও ইনার্শিয়া। যাক সে কথা, আজও রিভিউ লিখতে বসিনি। শুধু বোর্হেস পড়তে শুরু করেছি, একটি বই পড়ে শেষ করেছি সেটা জানাতে বসেছি, খুশী ভাগ করতে এসেছি।
Historia universal de la infamia এর দুখানা অনুবাদ আছে একটা ১৯৭২ সালের A Universal History of Infamy, আরেকটা ১৯৯৯ সালের A Universal History of Iniquity দুইখানাই একসাথে পড়েছি। ১৯৭২ সালের অনুবাদটার বাক্যগঠন ভাল লেগেছে আর ১৯৯৯ সালের অনুবাদের শব্দচয়ন। যদি একটার পক্ষে ভোট দিতে নিতান্তই বাধ্য হই তবে খুব সম্ভবত পুরোনোটাকেই বেছে নিবো। বোর্হেস নিজে কিন্তু কোনোটিকেই 'অথরাইজড' হিসেবে বেছে নেননি।
বইটাতে আপাত দৃষ্টিতে ইতিহাসের কিছু 'কুখ্যাত' ব্যক্তিকে নিয়ে সোজাসাপ্টা গল্প আছে, যারা পৃথিবীর নানা জায়গায় নানাভাবে এই কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। গল্পগুলো 'আপাত' দৃষ্টিতে সরল মনে হলেও যে নিতান্তই সরল নয় সেটা আমি প্রথম গল্প পড়েই বুঝে গিয়েছিলাম। প্রথম গল্পটি যে কুখ্যাত মানুষটিকে নিয়ে, তিনি যে সময়টাতে বেঁচে ছিলেন, সে সময়কে কেন্দ্র করে নতুন এক লেখকের লেখা প্রায় ৪০০ পাতার ঐতিহাসিক উপন্যাস আমি পড়েছিলাম গতবছর। ঠিক যে মুহূর্তে বুঝলাম ৪০০ পাতার উপন্যাস পড়ে সে সময়টাকে আমি যতটুক ধরতে পেরেছিলাম, ১২ পাতার গল্পে যে সময়টা তার চেয়ে বেশি বই কম ধরা দিচ্ছে না, ঠিক সেই মুহূর্তে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যদিও এটাই বোর্হেসকে নিয়ে মুগ্ধতার মূল কারণ নয়, মূল কারণ 'ব্যাখ্যার অতীত', এবং ব্যাখ্যার কষ্ট করতে ইচ্ছে হচ্ছে না। এটা আসলে একত্রে দুটো অনুবাদ পড়ার মূল কারণ, যাতে করে ভাষার রূপান্তরে যতটুকু খোয়া গেছে, তা কিছুটা কমিয়ে আনা যায়।
যাক, এখন বাকিগুলো এই কচ্ছপ গতিতে হলেও পড়ে ফেলতে হবে।...more